সাউথ ইন্ডিয়ান সিনেমা “Pushpa,Radhe Shyam,RRR,KGF এর মতো সিনেমাগুলি নিয়ে তো অনেক আলোচনাই হলো। চলুন আজকে আমাদের দেশীয় একটা কন্টেন্ট নিয়ে কিছু কথা বলা যাক😇
প্রায় তিন বছর পর একসাথে দেখা গেলো মেহজাবীন-নিপুন এর কাজ। তবে এবার কোনো নাটকে নয়। এবার তাদের দেখা গেলো ভারতীয় জনপ্রিয় ওটিটি প্লার্টফর্মে সম্প্রতি রিলিজ হওয়া Hoichoi অরিজিনাল ওয়েব সিরিজ “সাবরিনা”তে। যেখানে কেন্দ্রীয় এবং নাম চরিত্রে ছিলেন মেহজাবীন চৌধুরী। আরো ছিলেন নাজিয়া হক অর্ষা, ইয়াস রোহান, ইন্তেখাব দিনার, শাওন সহ আরো কিছু পরিচিত মুখ।
ওয়েব সিরিজে “সাবরিনা” দিয়েই হাতেখড়ি মেহজাবীন এর। সেই সুবাদে পাকাপোক্ত অভিনয় করে রাজকীয়ভাবেই অভিষেক হলো তার। সবগুলো এপিসোডেই তার পারফর্মেন্স মনোমুগ্ধকর ছিলো। ন্যাচারাল লুক, অভিব্যক্তি আর অভিনয়। নাজিয়া হক অর্ষা আর ইন্তেখাব দিনার ও কম নয়। তাদেরও ছিলো স্ট্রং ক্যারেক্টার। ইয়াস রোহান যতটুকু সময় ছিলেন দারুণ করেছেন। একের পর একটা দৃশ্য গল্পের মোড় ঘুড়িয়ে তো দেয়ই সাথে মনে প্রশ্ন জাগায়। সেই সাথে সূক্ষ্ম অভিনয় ছিলো সবার।
ইন্ট্রোর সময় ব্যাকগ্রাউন্ডের মিউজিকটা দারুণ। এছাড়া পাকাপোক্ত সংলাপ, সিনেমাটোগ্রাফি, এডিট ও কালার গ্রেডিং, স্কোর, ফ্রেম সবই ভালো লেগেছে। আশফাক নিপুন এর কাজ দেখতে বসা মানেই আরেকটি মাস্টারপিস কন্টেন্ট দেখতে বসা। তার বানানো হইচই অরিজিনাল ওয়েব সিরিজ মহানগর এর পর আরো একটি মাস্টারপিস কন্টেন্ট এবার “সাবরিনা”। এটা দেখে নির্মাতা আশফাক নিপুণ এর উপর আস্থাটা আরো প্রবল হলো।ধন্যবাদ আমাদের এতো সুন্দর একটা ওয়েব সিরিজ উপহার দেওয়ার জন্য।❤️
আশফাক নিপুনের কাজের দক্ষতা নিয়ে যতোই বলি,ততোই কম হয়ে যাবে বলে আমি মনে করি।
তিনি একটি চরিত্রে হাজারো সাবরিনা’কে গল্পে ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন।
আমাদেরই সমাজে নিত্যদিনের ঘটনাগুলোকে কেন্দ্র করেই এই নির্মাণ। সমাজের নিপীড়িত নারীর প্রতি সমাজের লোকজনের দৃষ্টিভঙ্গি, তাদের আচার ব্যবহারগুলোই ফুটিয়ে তুলেন নির্মাতা আশফাক নিপুন। প্রতিদিনই খবরের কাগজে কিংবা টিভি চ্যানেল গুলোতে নারীদের নির্যাতনের শিকার হওয়ার নিউজ। তবে এসব ঘটনাতে নারীরা একাই দোষী সাব্যস্ত হয়। ভুগতে হয় শুধু মাত্র সাবরিনাদের। সমাজ আঙুল তুলেও সাবরিনাদের দিকেই। সমাজের লোকজনের কটুক্তি হজম করতে না পেরে বেছে নেয় আত্মহত্যার মতো বিকল্প পন্থা। ঠিক এরকমই কিছু ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মাণ করা হয়েছে “সাবরিনা”।
#হালকাস্পয়লারঃ- অগ্নিদগ্ধ এক নারীকে রাতের আধারে রাস্তার পাশে থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় হসপিটালে। জানা যায় সেই নারীর নাম সাবরিনা। তার চিকিৎসার জন্য নিয়োজিত বার্ন স্পেশালিষ্ট আছেন ডাক্তার সাবরিনা। পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে ভিক্টিম সাবরিনাকে খুনের চেষ্টা করা হয়েছিলো। কিন্তু কেন? কে? বা কারা? এসব করেছেন তার রহস্য উন্মোচন করতে ভিক্টিমকে ট্রিটমেন্ট দেয়ার পাশাপাশি ঘটনার পেছনে কি ঘটেছিলো তা বের করতে কাজ করে যাচ্ছিলো ডাক্তার সাবরিনা। এভাবেই গল্পটা সামনের দিকে বহমান ছিলো।
Avi
Best